ঢাকা | রবিবার | ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মোংলায় জমি দেওয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও প্রতারক

কম দামে জমি কিনে সুযোগ বুঝে চড়া দামে বিক্রি করাই তার নেশা। আর জমি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া তার যেন পেশা। এভাবে প্রতারণা করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন কামরুল শিকদার নামে এক প্রতারক। কামরুল মোংলা পৌর শহরের কুমারখালী এলাকার মৃত কাদের শিকদারের ছেলে।

কামরুল শিকদারের নামে মোংলা থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সেই সব অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জমি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন কামরুল। কিন্তু জমি না দিয়ে, নানা রকম তালবাহানা করে এখন গা ঢাকা দিয়ে আছেন তিনি।

ভুক্তভোগী শহিদুল ভূইয়া, মো. সুজন, মো. শুকুর আলী ও মো. রানাসহ বেশ কয়েক জন বলেন, জমি কিংবা টাকা ফেরত চাইলে আজ না হয় কাল দেব—এমন একাধিকবার ওয়াদা ও আশ্বাস দিলেও এখন তিনি ফোন বন্ধ রেখেছেন। তার বাড়িতে গেলে ঘরে তালাবদ্ধ পাওয়া যায় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তাই এমতাবস্থায় থানা-পুলিশের দারস্থ হয়েছেন তারা।

আকবর, মাহবুব, বেল্লালসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের কাছ থেকে কম দামে জমি দেওয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন কামরুল। বছরখানেক সময় ধরে তিনি মোংলার বাড়ি ছেড়ে খুলনায় তার শ্বশুরবাড়ির এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। আর এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত কামরুল শিকদার বলেন, আমি বর্তমানে বিপদগ্রস্ত, তাই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝির দিকে তাদের কিছু কিছু করে টাকা দিতে পারব। এই মুহূর্তে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার মতো কোনো অবস্থা ও পরিস্থিতি আমার নেই।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই কামরুল শিকদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় নেই, তাই অভিযোগের অগ্রগতির বিষয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।