রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে গত ২৫ নভেম্বরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অনেক পরিবার তাদের স্বপ্ন ও সম্পদ হারিয়েছে। আগুনের সেই ভয়ঙ্কর আগুনে ইতিমধ্যে অনেকের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, তাদের জীবিকা ও ঘরবাড়ি শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন খুবই অসহায়, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় চাহিদায় মারাত্মক সংকটে পড়েছেন। এসব হতদরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপ, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আজ রবিবার (৩০ নভেম্বর), রাজধানী মহাখালীতে কড়াইল বস্তির ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন দেশের স্বনামধন্য ও শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান, দেশবন্ধু গ্রুপের কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাকির হোসেন, পরিচালক মাইনুল ইসলাম লাল, এবং দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ইদ্রিসুর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।
ইদ্রিসুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্প গোষ্ঠীগুলোর একটি। এর অধীনে রয়েছে গুড়োশ sugar, সিমেন্ট, রাইস, টেক্সটাইল, প্যাকেজিং, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, কনজ্যুমার ও এগ্রো পণ্যসহ মোট ৩৫টি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এই শিল্পগোষ্ঠী দেশের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং বছরে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দেশবন্ধু গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলি দেশের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চিনি, সিমেন্ট, কোমল পানীয় ও ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করে আসছে। সম্প্রতি তারা সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, চাল, মসুর ডাল, বুটের ডাল, মটর ভাজা, ইসবগুলের ভূষি, টেস্টিং সল্ট, আটা, ময়দা, সুজি ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারজাতের পরিকল্পনাও করছে।
ইদ্রিসুর রহমান আরও জানান, বর্তমানে তারা ৪০টিরও বেশি দেশে দেশবন্ধু পণ্য রপ্তানি করছে। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এই সংখ্যা करीब ১০০ দেশে পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে। এই উদ্যোগে দেশের অর্থনীতিতে তারা অবদান রাখতে উচ্ছসিত।
এভাবেই দেশের মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়ে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে কার্যকর সাহায্য ও সমাজসেবা চালিয়ে যাচ্ছে দেশবন্ধু গ্রুপ, যা দেশের উন্নয়ন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অবিরত কাজ করে যাচ্ছে।
