ঢাকা | মঙ্গলবার | ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শাহজালাল বিমানবন্দরও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে: ইএবি সভাপতি

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা, রপ্তানিমুখী শিল্প সংশ্লিষ্ট ও বৈদেশিক ক্রেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, এ ধরনের ঘটনা স্পষ্ট করে দেখাচ্ছে যে, কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় এবং এটি নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এর পাশাপাশি, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে তিনি সতর্ক করেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে কারওয়ান বাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যগুলোর জন্য দ্রুত বিমা দাবি নিষ্পত্তির নির্দেশনা প্রয়োজন, একই সঙ্গে যারা বিমা করাননি, তাদের জন্য সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা দেওয়া জরুরি। ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ও আধুনিকায়নের দিকে নজর দিতে হবে কার্গো ভিলেজের, যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আগেই রোধ করা যায়। তিনি আরও বলেন, ওষুধ শিল্পের জন্য আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আলাদা গুদামের ব্যবস্থা করতে হবে, রাসায়নিক গুদামগুলো নিরাপদ দূরত্বে স্থাপন করতে হবে এবং কার্গো ভিলেজের গুদাম ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে হবে। মোহাম্মদ হাতেম বলছেন, এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী কেউই এড়াতে পারেন না; এর মধ্যে রয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি), কাস্টম হাউস ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কারণ, সিএএবি এই কার্গো ভিলেজের মালিক, কাস্টমসের দায়িত্ব আমদানি পণ্যের তত্ত্বাবধান এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হ্যান্ডলিং এজেন্ট। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সবার উচিত সমন্বিত উদ্যোগে নিরাপত্তা ও আধুনিকায়নের ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা কমে যায়।