ঢাকা | বুধবার | ২০শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

গাজায় শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ নিহত, যুদ্ধ অব্যাহত ও মানবিক বিপর্যয় পরিস্থিতিতে

গাজায় চলমান সংঘর্ষের কারণে মানুষের জীবনে দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ হাজার শিশু সহ মোট ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধকে ব্যাপকভাবে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এর মধ্যেই এই ভয়ানক সংখ্যাক প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা সংস্থা, ইউএনআরডব্লিউএ, জানিয়েছে যে গাজা উপত্যকায় এখন আর কোনো স্থানে শিশুদের জন্য নিরাপদ স্থান bulunো না। ইসরায়েলি অবরোধের ফলে খাদ্য, ওষুধ, এবং অন্যান্য জরুরি সরবরাহের অভাব দেখা দিয়েছে, যার ফলে চরম দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।

সংস্থাটির তথ্যে, ইসরায়েলি বিমান হামালায় ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে অনেক মানুষ ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে, এসব স্কুলও এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে, যেখানে বহু শিশুর জীবনধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে। ইউএনআরডব্লিউএ স্পষ্ট করে বলছে, গাজায় শিশুর জীবন উপযুক্ত নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত। তারা দ্রুত যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলে মনে করে।

এছাড়া, ইউনিসেফের বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েলি একতরফা অভিযান চলাকালে প্রতি মাসে ৫৪০ এর বেশি শিশু মারা যাচ্ছে।

অন্যদিকে, গাজায় চলমান এই রক্তাক্ত সংঘর্ষ বন্ধ করতে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনকারী সংগঠন হামাস নতুন করে আলোচনায় বসার জন্য সম্মতি জানিয়েছে। তারা কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। তবে, হামাসের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, তারা দীর্ঘমেয়াদী শান্তি চায়, এবং এই সংঘর্ষ চালিয়ে যাওয়ারও প্রস্তুতি আছে।

এদিকে, ইসরায়েল এই যুদ্ধ চলতে থাকলেও, মধ্যস্থতাকারীরা বিভিন্ন ধরনের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও চ্যানেল ১২ রিপোর্ট করেছে, তারা হামাসের প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।

প্রতিবেদনটি শেষ হয় আল-জাজিরার প্রতিবেদনে, যেখানে বলা হয়েছে— মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় দ্রুত যুদ্ধবিরতি দরকার এবং শান্তির পথে এগিয়ে যাবার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় হতে হবে।