ঢাকা | মঙ্গলবার | ১৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

কাল ‘নতুন কুঁড়ি’ রেজিস্ট্রেশন শুরু, উদ্বোধন করবেন তথ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শিশু শিল্প প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’ আবারও শুরু হতে যাচ্ছে, যা দীর্ঘ ১৯ বছর পর ফের চালু হচ্ছে রাষ্ট্রের উদ্যোগে। এই অনুষ্ঠানটি মূলত শিশুদের প্রতিভা ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও, বিভিন্ন কারণে বেশ কিছু বছর বন্ধ থাকলো। তবে এবার আবারও উৎসাহের সঙ্গে একক ও দলীয় অভিনয়, নৃত্য, গান, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও গল্প বলা gibi বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হবে।

আগামীকাল ১৭ আগস্ট বেলা ৩টায় বিটিভি স্টুডিওর রামপুরা শাখায় ‘নতুন কুঁড়ি ২০২৫’ প্রতিযোগিতার জন্য রেজিস্ট্রেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিটিভির জেনারেল ম্যানেজার নুরুল আজম, যিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে শিশুশিল্পীদের জন্য এই অনুষ্ঠানটির আবারও সূচনা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয় নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন যেন সব কিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।

পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশকে ২০টি অঞ্চলে ভাগ করে বাছাই পর্বের মাধ্যমে প্রতিযোগীদের নির্বাচন করা হবে। মূল প্রতিযোগিতা চলবে ৩ নভেম্বরের মধ্যে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা হবে, যেমন একক ও দলীয় অভিনয়, লোকনৃত্য, উচ্চাঙ্গন নৃত্য, দেশাত্মবোধক গান, নজরুলসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতি, ছড়া আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, গল্প বলার, হামদ ও নাত। বয়সসীমা অনুযায়ী ভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিশুদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে—‘ক’ শাখার জন্য ৬ থেকে ১০ বছর এবং ‘খ’ শাখার জন্য ১১ থেকে ১৫ বছর।

প্রতিযোগিতা শুরু előtt, আজ ১৬ আগস্ট বিটিভির জেনারেল ম্যানেজার নুরুল আজমের সঙ্গে অংগ্রহণেচ্ছু শিশুদের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানটি আবার চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সচিব মহোদয়রা অত্যন্ত আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আশা করছি, তাদের নির্দেশনাতে এই আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।

‘নতুন কুঁড়ি’ হলো শিশু শিল্পীদের জন্য বাংলাদেশের এক অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় রিয়েলিটি টেলিভিশন প্রতিযোগিতা, যা ১৯৬৬ সালে মুস্তফা মনোয়ারের নেতৃত্বে প্রথম শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৬ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে এটি আবারও পুনঃপ্রচলিত হয়। সেই সময়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিশু ও কিশোরদের যুগান্তকারী মেধা ও সাংস্কৃতিক পরিচিতি। জনপ্রিয়তা অত্যন্ত বেশি থাকলেও, ২০০৬ সালের পর সরকারের অর্থাৎ আনুকূল্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এবার আবার প্রবর্তনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুপ্রেরণা জোগাতে চান সংশ্লিষ্টরা।