ঢাকা | মঙ্গলবার | ১৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

৬৩ বছরে রক লেজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু

বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম—আইয়ুব বাচ্চু। আজ, ১৬ আগস্ট, গিটার জাদুকর এই শিল্পীর জন্মদিন। ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া আইয়ুব বাচ্চু ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর জীবন থেকে চলে যান না ফেরার দেশে, তবে তার স্মৃতি ও সঙ্গীত এখনও জীবন্ত। তিনি যদি আজ এই পৃথিবীতে থাকতেন, তবে তার বয়স হতো ৬৩ বছর।

আইয়ুব বাচ্চু বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতকে মূলধারায় উন্নীত করার ক্ষেত্রে অমূল্য অবদান রেখেছেন। তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড এলআরবি (লিটন রাজ্জাক ব্যান্ড) দেশের সঙ্গীতের জগতে এক নতুন পতাকা উড়িয়েছে। এই ব্যান্ড থেকে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য চিরসবুজ গান, যেমন—’ফেরারি মন’, ‘চলো বদলে যাই’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘রুপালি গিটার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’—যেগুলি আজও প্রজন্মের প্রিয় তালিকায় রয়েছে।

তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’ এবং দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’ দিয়ে শুরু হয় তার স্বতন্ত্র ক্যারিয়ার। ১৯৯২ সালে এলআরবি দেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম ‘এলআরবি ১’ ও ‘এলআরবি ২’ প্রকাশ করে, যা সংগীতপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিল। আর ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত ‘সুখ’ অ্যালবামটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম সফল ব্যান্ড অ্যালবাম।

আইয়ুব বাচ্চু শুধু ব্যান্ডসংগীতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি; তিনি আধুনিক গান, লোকগীতি, চলচ্চিত্রের গীতিও রচনা ও পরিবেশন করেছেন। গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক—এই সব ধারায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।

অভিজাত থাকলেও সহজ সরল জীবনযাপন করতেন, জীবন শেষ দিন পর্যন্ত চেয়েছেন একজন ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে থাকতে। তার মৃত্যুতে সংগীত জগৎসহ পুরো দেশই শোকাহত হয়েছিল।

আজও হাজারো ভক্ত ও অনুরাগী বিভিন্ন উপায়ে স্মরণ করছেন এই কিংবদন্তিকে। তিনি চলে গেছেন, তবে তার গিটার থেকে বাজে গানের গল্প আর প্রেরণা, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে যাচ্ছে আমৃত্যু।