ঢাকা | রবিবার | ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ধর্ম মানুষকে সংযম, শুদ্ধাচার ও মানবতা শিক্ষা দেয় : জেলা প্রশাসক

শহরের বিভিন্ন শহিদমঞ্চ ও পজাকস্থ গোলকমনি শিশু পার্কে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে সম্পন্ন হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল হালদার সভাপতিত্ব করেন, এবং সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু সঞ্চালনা করেন। আলোচনাসভা ও মহাধুমধামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ছিল এই দিনটির মূল আকর্ষণ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি তার ভাষণে বলেন, ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে এক সুন্দর সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য বিকশিত হয়। দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মধ্যে এই ঐতিহ্যই বিভেদ ও বৈষম্য দূর করে। তিনি উল্লেখ করেন, ধর্ম মানুষকে সংযম, শুদ্ধাচার ও মানবতা শিক্ষা দেয়। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী, তারা নিজের ধর্মের প্রতি অনুরাগী এবং অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায়। পাশাপাশি আরও বক্তব্য দেন এস্টেট অব শ্রীশ্রী সত্যানারায়ণ মন্দিরের নির্বাহী ট্রাস্টি গোপী কিষণ মুন্ধড়া, মহানগর পূজা পরিষদে উপদেষ্টা অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র, গলামোরী রাধা-মাধব মন্দিরের অধ্যক্ষ (ইসকন) গৌড়েশ্বর নিমাই দাস ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির খুলনা শাখার সভাপতি সমরেশ সাহা, শ্যামা ফাউন্ডেশনের খুলনার চেয়ারম্যান শ্যামা প্রসাদ কর্মকার, এছাড়াও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সমাজের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাে শহরের বিভিন্ন রাস্তাক দিয়ে গীতা, ঢাক, বাদ্যযন্ত্র, ব্যানার, ফেস্টুনসহ অংশগ্রহণকারীরা গৌরবময় পরিবেশে এই উৎসব পালন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিষদ খুলনার সভাপতি দেবেন্দ্র নাথ সাহা, সাধারণ সম্পাদক স্বপন চক্রবর্তী, সনাতনধর্মী আইনজীবী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি স্বপন কুমার বিশ্বাস, বিভিন্ন মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বহু স্থানীয় নেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

শোভাযাত্রা শেষে আবারও গোলকমনি শিশুপার্কে ফিরে আসতে থাকে এবং সেখানে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। রাত ৮টায় স্যার ইকবাল রোডস্থ আদি কালীবাড়ীপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও রাত ৯:০১ মিনিটে শ্রীশ্রীকৃষ্ণের পূজা সম্পন্ন হয়।

সবকিছু সম্পন্ন ও সফল করার জন্য ভক্তবৃন্দ, জেলা প্রশাসন, কেসিসি, কেএমপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুষ্ঠানের সভাপতি শ্যামল হালদার ও সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।