ঢাকা | রবিবার | ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন শমী কায়সার

বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি শমী কায়সার। এই রায় দেন হাইকোর্ট। সোমবার (১১ আগস্ট) এক শুনানির মাধ্যমে আদালত তাকে জামিনের আদেশ দেন।

প্রায় তিন মাস আগে, ৮ এপ্রিল রাতে, উত্তরা ৪নং সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এরপর ৯ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা এলাকার টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্র জুবায়ের হাসান ইউসুফকে হত্যাচেষ্টা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।

মামলার বিস্তারিত জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট, দুপুরে জুবায়ের হাসান ইউসুফ (২০), সেই কলেজের ছাত্র, উত্তরা পূর্ব থানাধিন আজমপুরে একটি মিছিলের অংশ নিয়ে যান। ওই সময় আসামিরা তাঁকে গুলি করে, যা তার বাম কাঁধে লাগে। এতে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হন।

তারপর, ২২ আগস্ট, ভুক্তভোগী জুবায়ের উত্তরা পূর্ব থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় সন্দিগ্ধ হিসেবে শমী কায়সারকে অভিযুক্ত করা হয়। এই ঘটনার কয়েকদিন আগে, ১৮ জুলাই, ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়াকারি এক ব্যবসায়ীর হত্যাচেষ্টার ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনায়, ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়, যেখানে ওই সময় শমী কায়সারকে গ্রেফতার করা হয়।

শমী কায়সারকে ৯ নভেম্বর আদালত রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠান। ১০ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এর পর থেকে তিনি তার নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।

অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয় এই ব্যক্তির রাজনৈতিক সম্পর্কও রয়েছে। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে। তার মা পান্না কায়সার, যিনি আওয়ামী লীগ থেকে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। দলীয় রাজনীতির সঙ্গে তাঁর অনুরণন রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সর্বশেষ, কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি শিল্পীদের নিয়ে বিটিভি ভবনে প্রতিবাদ করেন। এছাড়াও, ‘আলো আসবে’ নামে একটি বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও তাঁর কর্মকাণ্ড আলোচিত হয়।