ঢাকা | মঙ্গলবার | ১৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ইসরায়েলের তেল শোধনাগারে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩

১৭ জুন ভোরের আগে ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বন্দরে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল শোধনাগারে আঘাত হানে। এই হামলায় কমপক্ষে তিনজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। দীর্ঘ দিন ধরে চলা উচ্চতর উত্তেজনার অংশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটে, যা পরে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বার্তাসংস্থা মেহেরের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে জানা যায়, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রথমে হুবহু ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হিব্রু ডেইলি দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। এই হামলার সময় বাজান তেল শোধনাগারে ভোরের আগেই ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত করে, যার ফলস্বরূপ সংস্থার পারিপার্শ্বিক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং আগুন ল linger বলে খবর পাওয়া যায়।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এই হামলার ফলে শোধনাগারের অভ্যন্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ আঘাতের ফলে তেল শোধনাগার কার্যক্রম কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, এবং তারা নিশ্চিত করেছেন যে ধীরে ধীরে উৎপাদন পুনরায় শুরু হবে। ইসরায়েলের প্রধান জ্বালানি সংস্থা এ বিষয়ে জানিয়েছে, এই হামলার কারণে মূলত $150 মিলিয়ন থেকে $200 মিলিয়নের ক্ষতি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল গত ১৩ জুন থেকে শুরু করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইরানের বিভিন্ন সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনায়। সেই অব্যাহত আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে ২২ জুন আইআরজিসি তার পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। তারা ইসরায়েলের দখলকৃত বিভিন্ন ভূখণ্ডে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইরানি বাহিনী কাতারের আল উদেইদ এয়ারবেসে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ২৪ জুন আগ্রাসী সংঘর্ষ বেধে সাক্ষাৎ ক্ষান্ত দেয়, ফলে দ্বিপক্ষীয় সংঘর্ষ দীর্ঘস্থায়ী হয়।

এই পরিস্থিতি বর্তমানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনা চললেও উত্তেজনা এখনও তুঙ্গে। বিভিন্ন দফা পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি তথৈবচ অবস্থায় পৌঁছেছে।