ঢাকা | রবিবার | ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপির আন্দোলন বিদেশিদের করুণা পাওয়ার জন্য, দাবি কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি তাদের আন্দোলনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে করুণা ভিক্ষা করছে। এতে দলটির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে করুণা ভিক্ষা করছেন। এর মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একটি রাজনৈতিক দল কতটুকু দেউলিয়া ও নির্লজ্জ হলে এই ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত আবেদন জানাতে পারে।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা তাদের বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে জনগণের কাছে বিএনপির কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের প্রতি যে দায়িত্ববোধ ও সংবেদনশীলতা দেখানো প্রয়োজন, বিএনপি তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের ওপর আস্থা না রেখে যেকোনো উপায়ে ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য তারা বরাবরই বিদেশি প্রভুদের দ্বারস্থ হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সাফল্য অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাশাপাশি ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং কূটনৈতিক সাফল্যের কারণে কৌশলগত ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষমহয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আরও সুসংহত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে এই সাফল্যের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কোনো প্রকার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যে রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হাস্যকর। তা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও ঘনীভূত করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়। জিয়াউর রহমানের আমলে পার্বত্য অঞ্চলে অশান্তির সূচনা হয়। সেই অশান্ত পাহাড়ে শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন শেখ হাসিনা। জিয়াউর রহমানের আমলেই রোহিঙ্গা সংকটের শুরু। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে, এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। বিএনপি কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও সংকট সৃষ্টি করতে পারে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ কোনো পক্ষ নয়। মিয়ানমার সরকার ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দুই পক্ষ এই সংকটে রয়েছে। এই দুই পক্ষের বিবদমান সমস্যার বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে।