শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৬ রান। ১৯তম ওভারে সাইফউদ্দিনের ব্যাটে ছক্কা-চারে ১৩ রান তুলে বাংলাদেশ শেষ ওভারে পৌঁছে যায় জয়লাভের খুব কাছে। শেষ ওভারে ৩ রান প্রয়োজন থাকতেই দুই বল হাতে থাকলেও বাংলাদেশ সেই পরিস্থিতি সামলে নিতে সক্ষম হয়, একসঙ্গে ৪ উইকেটের জয় দিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনে স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন টাকার। জবাবে বাংলাদেশ ১৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে, এতে জয় তুলে নেয়। বাংলাদেশের জন্য লিটন দাস ৫৭ রান করে নিজেকে ধারায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রথমে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ শুরুটা ভালো করলেও ৭ রান করে রান আউটের মাধ্যমে তানজিদ তামিম ফিরলে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে পড়ে ২৬ রানে। তামিম দ্রুত ফেরলেও ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন দারুণ ব্যাটিং দেখান, ২৮ বলে ৪৩ রান করে দলের আশা জোগান। এরপর তিনে নামা লিটন দাস ফিফটি করে দলের জয়ের মূল ভিত্তি স্থাপন করেন। ৩৪ বলে ৫৭ রান করেন তিনি, ও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং চালিয়ে যান অধিনায়ক।
মিডল অর্ডারে তাওহিদ হৃদয় ও নুরুল হাসান সোহানরা দ্রুত ফিরে গেলে কিছু সময়ের জন্য জয়ের পথ সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। তবে শেষের দিকে সাইফউদ্দিনের ৭ বলে অপরাজিত ৭ রানের ইনিংস সেই সংশয় দূর করে দেয়।
অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ডের ইনিংস শুরু হয় দুর্দান্ত, পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টর ঝড়ো ব্যাটিং দেখান। বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতেই কিছু সমস্যা পেয়ে যান, শেখ মেহেদি প্রথম ওভারে ৩ বাউন্ডারি হজম করেন। পরে নাসুম আহমেদও খানিক খরুচে ছিলেন, ২ বাউন্ডারিতে ১৪ রান দেন।
আইরিশদের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হঠাৎ করে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যায়, প্রথম দুটি বন্ধ হয় তারপর চতুর্থটি বন্ধ হলে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। পরে খেলা চালু হলেও আয়ারল্যান্ডের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। এরপর তানজিম সাকিব পাঁচ ওভারে স্টার্লিংকে আউট করে দেওয়া অবধি, এই ওপেনার ১৪ বলে ২৯ রান করেন।
পাওয়ার প্লেতে আয়ারল্যান্ড ভয়ঙ্করভাবে মোকাবেলা করে বাংলাদেশি বোলারদের, ৬ ওভারে তারা এক উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান তোলে — এটি টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে তাদের সর্বোচ্চ পাওয়ার প্লে স্কোর বাংলাদেশের বিপক্ষে।
বিপজ্জনক মনে হলে বাংলাদেশি বোলারদের ফিরিয়ে আনে শেখ মেহেদি, ২৫ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন। এরপর হ্যারি টেক্টর ও বেন কার্টিজ দ্রুত ফিরে গেলে, বাংলাদেশ চাপ তৈরি করে আয়ারল্যান্ডের উপর।
শেষে, কিছু লড়াই করে টাকার সাহায্যে ১৭০ রানের সংগ্রহে পৌঁছায় সফরকারীরা। এই অনিশ্চয়তার উত্তরণে তাদের জন্য অনেকটাই সন্তুষ্টির বার্তা উঠে এসেছে।









