নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ ঘটনায় বন্দুকধারীরা একটি ক্যাথলিক স্কুল থেকে অন্তত ২২০ জন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের অপহরণ করেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে শুক্রবার (২১ নভেম্বর)। এটি দেশের মধ্যে চলতি মাসে দ্বিতীয় বড় অপহরণ ঘটনা, যা দেশের নিরাপত্তার অবনতি আরও বেশি স্পষ্ট করে দিয়েছে।
ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়ার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নাইজার রাজ্যের সেন্ট মারিস স্কুল থেকে অপহৃত ২১৫ শিক্ষার্থী মূলত ছাত্রীরা, পাশাপাশি আরও ১২ জন শিক্ষককে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার ফলে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগে পড়েছেন সবাই।
আন্তর্জাতিকভাবে আফ্রিকার অন্যতম জনবহুল দেশের এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতা বাড়তে থাকায় প্রতিবেশী কাতসিনা ও মালভূমি রাজ্যের কর্তৃপক্ষ সব স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। নাইজার রাজ্যের পক্ষ থেকেও বহু স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকায় উপায় হয়।
অপহরণের এই ঘটনার কারণে সরকারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চিন্তা-চেতনাও বেড়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড ও সফর বাতিল করেছেন, যার মধ্যে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অতীতে, গত সোমবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কেব্বি রাজ্যের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ২৫ জন ছাত্রীকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা। এছাড়াও, দেশের পশ্চিমাঞ্চলে একটি চার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দু’জন নিহত হয়। এই সহিংস ঘটনাগুলোর পেছনে রয়েছে সামরিক হুমকি এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনা। খবর সূত্র: এএফপি।







