বাজারে এখনও চড়া থাকা পেঁয়াজের দাম কমেনি, তবে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। আগাম পাতা ও শীতের নতুন পেঁয়াজের কলি বাজারে আসতে শুরু করেছে, যার ফলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে দাম কিছুটা ổস্ত হতে পারে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। বিশেষ করে, নতুন পেঁয়াজের কেজি এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। পুরনো পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে না বলে ধারণা করছেন ক্রেতারা। রামপুরা বাজারের একজন বিক্রেতা আবু ফজল বলছেন, নতুন পেঁয়াজ আসছে এবং কিছু দিন পর মুড়িকাটা পেঁয়াজও বাজারে উপস্থিত হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পেঁয়াজের দাম আর বাড়বে না, বরং কমার সম্ভাবনা বেশি। পরিস্থিতি যদি স্থিতিশীল না হয়, তাহলে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্যে, ২ হাজার ৮০০ প্রতিষ্ঠানের কাছে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন জমা পড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পেঁয়াজের দামের ওপর নজরদারি চলছে এবং প্রয়োজন হলে সীমিত পরিসরে আমদানি অনুমোদন দেবে, যাতে কৃষকদের ক্ষতি না হয়। রাজধানী ঢাকায় শীতের আগমনের সঙ্গেই বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে অনেক ধরনের সবজির দাম কমে গেছে, যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, শালগম, মোটা মুলা ও নতুন বেগুন। এই সবজিগুলোর বিক্রির দর এখন জনপ্রিয় বাজারে ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে, এবং শিমের কেজি ৭০-৮০ টাকা। বেগুন ৬০-৭০ টাকা, শালগম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ও মুলার দাম এখন ৪০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি। নতুন টমেটোর দামও কমে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় এসেছে। বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ার কারণে পুরোনো সবজির দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে, ফলে চাহিদাও হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে, গ্রীষ্মের কয়েকটি সবজি যেমন পেঁপে ২০-৩০ টাকা, পটলা ৪০-৬০ টাকা, চালকুমড়া, লাউ ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও, করলা ৬০-৭০ টাকা ও ঢ্যাঁড়স ৫০-৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। মালিবাগের এক বিক্রেতা ইয়াকুব আলী জানান, বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ শীতের সবজি বেশি কিনছেন, ফলে গ্রীষ্মের পুরোনো সবজির চাহিদা কমে গেছে। অন্যদিকে, ডিমের দামও কমে আসছে। কিছু সময় আগে, ডজনপ্রতি ডিমের মূল্য ১৫০ টাকা থাকলেও এখন এটি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ডিমের দাম কমার কারণ হলো, সবজির দাম কমে গেলে ডিমের ওপর চাপ কিছুটা কমে আসে। ব্রয়লার মুরগির কেজি এখন ১৭০-১৮০ টাকা, আর সোনালি মুরগির কেজি ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চলতি মাসগুলোতে মুরগির দাম স্থির রয়েছে। অন্যদিকে, মুদি বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দামে খুব বেশি পরিবর্তন দেখা যায়নি।







