ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় সফরে বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলর

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আগামী ১৯ নভেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লি যাচ্ছেন। এই সফরে তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তার এই সফরে তিনি অংশ নেবেন কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সাতম সম্মেলনে, যা ২০ নভেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, অজিত দোভালের আমন্ত্রণে এই দুই দিনের সফরে তিনি অংশ নিচ্ছেন। অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে এই আমন্ত্রণ পান খলিলুর রহমান, যা তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। এই সফরে তিনি দিল্লিতে ভারতের নিরাপত্তা পরামর্শদাতার সঙ্গে বৈঠকের ঘটনাও ঘটতে পারে, যদিও এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ঢাকায় কূটনৈতিক সূত্রগুলো সতর্ক থাকলেও, ভারতের এক সূত্র জানিয়েছে যে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পরিস্থিতির বিবেচনায়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এই সৌজন্য বৈঠকটি হতে পারে সম্মেলকের ফাঁকে হয়তো হয়, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি দ্বিতীয়বারের মতো কোনো নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান দিল্লি যান ‘ইন্ডিয়া এনার্জি উইক’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য।

গত বছর আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর, নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন গতিতে নিয়ে আসে। এর ধারাবাহিকতায়, ডিসেম্বরের শেষ দিকে ঢাকায় এক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়।

উপরন্তু, এপ্রিলে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সৌজন্য সাক্ষাৎও সম্পন্ন হয়।

দুদেশের মধ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক, যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি বৈঠক ও কনস্যুলার সংলাপের মতো নানা আনুষ্ঠানিক আলোচনা হলেও, গত মে ও জুন মাসে বাংলাদেশ প্রস্তাবিত ট্রেড সেন্টার বৈঠকগুলোর ওপর ভারত আন্তরিকতা দেখায়নি।

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সহযোগিতার জন্য গঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভে বাংলাদেশ সম্প্রতি পূর্ণ সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে। এই ফোরামের লক্ষ্য হলো সামুদ্রিক নিরাপত্তা, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের মোকাবিলা, মানব পাচার নিয়ন্ত্রণ, সাইবার নিরাপত্তা, অবকাঠামো সুরক্ষা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা। কলম্বোতে এর সচিবালয় স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানো হচ্ছে।

আজকের খবর / এমকে