ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সংঘাতের আশঙ্কা করে বক্তার সতর্কতা: কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতि অস্থিতিশীল হতে পারে

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নির্বাচনের আগে দেশের বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে রয়েছে, আর আপনাদের দেখা যাবে খুব скоро, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতির অবনতি। Сегодня sábado সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএম ভবনে আয়োজিত ‘মাজার সংস্কৃতি : সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এই কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘মাকাম’, যা সুফি সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও তার প্রভাব নিয়ে কাজ করে। মাহফুজ আলম বলেন, “আমি আশঙ্কা করছি, যদি ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি এই সংঘাতের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।” তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ধরণের দরবার এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে, যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাজার কমিটি, মসজিদের পরিচালনা কমিটি পরিবর্তিত হয়, যা ধর্মীয় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে। তিনি মন্তব্য করেন, রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ যেমন শেষ হয়েছে, তেমনি সামাজিক স্তরে ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে। ধর্মের বিভিন্ন ধারা বা তরিকা মধ্যে সংলাপ ও সমন্বয় না হলে দেশের অগ্রগতি থমকে যাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। মাহফুজ আলম বলেন, দেশের ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ মুসলমান বিভিন্ন তরিকা অনুসরণ করে, সেগুলোর মধ্যে সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাজনৈতিক নেতাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কিছু মুসলিম সংগঠনের আদর্শিক বিরোধিতা থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রে ধর্মীয় গ্রুপগুলো রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোও এই পরিস্থিতিতে সক্রিয় রয়েছে, কিছু মাজার ধ্বংসের পক্ষে রয়েছে তাদের পক্ষে। তিনি সতর্ক করেন, ধর্মীয় গ্রুপের নিজস্ব সশস্ত্র আন্দোলন বা সংঘাতের চেষ্টা করলে দেশের জন্য কঠিন ক্ষতি হবে। মাহফুজ আলম বলেন, সম্প্রতি কিছু মাজারে হামলার ঘটনায় অনেককে গ্রেপ্তার করা হলেও, সংস্কারের ব্যাপারে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, যদি ধর্মীয় সংস্কৃতি ও শহীদদের সম্মান রক্ষা না করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে অন্য গোষ্ঠীর ওপর এই ধরনের আঘাত আরও বাড়বে। তিনি সরকারি ও রাজনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানান, যেন ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকে এবং দেশের অস্থিতিশীলতা দূর হয়।