ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

জয়ার পরিচালকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ও বিস্ফোরক মন্তব্য

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে কাজ করতে গেলে পরিচালকের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন, এমন ধারণা অনেকেরই রয়েছে। তবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান এই বিষয়টি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছেন, এটা তার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অংশগ্রহণ করে তিনি নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের পরিচালকরারা কখনো তার পুরোপুরি মূল্যায়ন করেননি, নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার পরও তার জন্য সুযোগের দরজা বন্ধ ছিল। এর আরেকটি কারণ হলো, দেশে সাধারণত পরিচালকের বান্ধবী বা স্ত্রী থাকলে শ্যুটিংয়ে তাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এই ভিত্তিতে তিনি কখনোই কাজ করতে চাননি এবং করবেন না। এর ফলে তার ক্যারিয়ার অনেক সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে, কিন্তু কলকাতায় এসে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। সেখানে তিনি সৎভাবে কাজের স্বীকৃতি পান, ভালো চরিত্র পান এবং শিল্পের প্রতি তার গভীর ভালোবাসার কারণেও তিনি এই স্থানে এসেছেন। জয়া আরও জানান, এখনও বাংলাদেশে নারী কেন্দ্রিক কোনও প্রকল্পে কাজ করতে গেলে অনেক পরিচালকের ভয় থাকেই। তারা পছন্দের বান্ধবী বা স্ত্রীকেই সুযোগ দেন, একজন নিবেদিতপ্রাণ অভিনেত্রী বা শিল্পীকে তারা মূল্যায়ন করেন না। তবে মানুষের মধ্যে কিছু নির্মাতা রয়েছেন, যারা গুণী অভিনেতাদের থেকে ভালো কাজ বের করতে চান এবং করেন। কলকাতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি শুধুমাত্র একজন শিল্পী, আমার মূল কাজ হলো অভিনয়। অন্য কিছু করার মধ্যে আমার আগ্রহ বা দক্ষতা নেই। বাংলাদেশে তখন আমি যা করতে পারছি, এর চেয়ে আরও ভালো কাজ করতে চাইছিলাম। এ কারণেই আমি কলকাতায় যেতে বাধ্য হয়েছি। এছাড়াও, বলিউডের প্রযোজক করণ জোহরের ‘ধর্মা প্রডাকশন’ থেকে পাওয়া ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে ছিলেন জয়া। তবে নানা কারণে সেই প্রস্তাবটি তিনি গ্রহণ করতে পারেননি। সর্বশেষ সময়ে তিনি দেখতে পেয়েছেন, তিনি কাজ করেছেন ‘ফেরেশতে’ সিনেমায়, যা বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত। এই চলচ্চিত্রে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুমন ফারুকসহ আরও অনেকেই।