লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো সারাদেশে একযোগে লালন উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই উৎসবের মাধ্যমে লালনের ভাব-দর্শন, গানের জগৎ এবং সংস্কৃতি তুলে ধরা হচ্ছে। এই আয়োজনটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে কুষ্টিয়া, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এই উৎসব শুরু হয়েছে। কুষ্টিয়ায় তিন দিনব্যাপী (১৭ থেকে ১৯ অক্টোবর) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে লালনের জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা, সংগীতানুষ্ঠান এবং লালন মেলার আয়োজন রয়েছে। বুধবার সকালে, কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়াস্থ লালন ধামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, গবেষক ও শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া, ঢাকায় আগামীকাল (১৮ অক্টোবর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লালন উৎসব ও মেলার আয়োজন রয়েছে। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় শিল্পী ও ব্যান্ডের পরিবেশনা থাকবে। আলেরা বেগম, ইমন চৌধুরী, বেঙ্গল সিম্ফনি, লালন ব্যান্ড, নীরব অ্যান্ড বাউলস থেকে শুরু করে মুজিব পরদেশী, পথিক নবী, সূচনা শেলী ও অন্যান্য শিল্পীরা অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, এই প্রথমবারের মতো দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে এই উৎসব পালিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি লালনের জীবনাচরণ ও ভাবনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এবং লালন দর্শনকে নতুন করে আবেগের সঙ্গে উপস্থাপন করতে নির্মিত একটি বড় উদ্যোগ। এই উৎসবের মাধ্যমে দেশের নাগরিকরা লালনের আদর্শ, গানের ভাষা ও জীবনদর্শনকে গেঁথে নিতে পারছেন।
আয়োজনের বিশেষ মাহাত্ম্য হলো—এটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং কাঠামোগত সাংস্কৃতিক এক মিলনমেলা যেখানে সবাই একত্রিত হয়ে লালনের অমৃতের মতো শিক্ষা ও সংস্কৃতি চালিয়ে যাচ্ছেন।







