ঢাকা | মঙ্গলবার | ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বাগেরহাটে আসন পুনর্বহালের দাবিতে মহান হরতাল ও সড়ক অবরোধ

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনে পরিবর্তনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে মনোভাবপ্রকাশ করছে। জেলা জুড়ে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই হরতাল ও সড়কপথ অবরোধ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাগেরহাট মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সামনে, খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের দশানী, নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোড়লাহাট সেতু, বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা-মংলা মহাসড়কের ফয়লা ও মোংলা বাসস্ট্যান্ড সহ অন্তত ২০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিবহন ও যানবাহন চলাচল ব্যাহত করতে কৃষকের গাছের গুঁড়ি, বেঞ্চ ও গাড়ি বসিয়ে অবরোধ সংগঠিত করছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।

এ সময় নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে আটটার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং পরে মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন। এরপর জেলা প্রশাসকের সরণিতে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. ফকরুল হাসানের গাড়ি অটোটো করে দেন। এর পরে তিনি নিজ অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি। নয়টার সময় জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানকে তার কার্যালয়ে প্রবেশের বাধা দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি অফিসে না গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে যান।

নেতাকর্মীরা সকালে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতৃবৃন্দসহ জেলা বিএনপি, জামায়াত ও সাধারণ জনগণের পাশাপাশি অংশ নেন। দীর্ঘদিন ধরে এই চারটি আসন দুদশার অনেক অংশে বিভক্ত থাকায় মানুষ এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল। ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক প্রস্তাবে জেলায় ৪টি আসন থেকে ৩টি করার সিদ্ধান্তে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাগেরহাটের জনগণ এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সরব হন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যেখানে চারটি আসন পরিবর্তন না করে তিনটি আসনে রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, যা সাধারণ মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন।

এলাকাবাসীর এই প্রতিবাদ ও অভাবের প্রতিবাদে গড়ে ওঠা এই হরতাল ও অবরোধের মাধ্যমে তারা তাদের পুরনো আসনগুলো পুনর্বহালের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।