গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন ফারুক আহমেদ। তবে মাত্র নয় মাসের মধ্যে সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং মে মাসে তাকে বিসিবি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তখনকার উল্লেখ্য কারণ ছিল, ফারুক ঐ প্রতিস্থাপনে কোনও অনুমতি বা জানোয়ারি ছাড়াই একটি ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করেছিলেন। এছাড়াও বোর্ড পরিচালকদের কাছ থেকে অভিযোগ আসে, ফারুকের কারণে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ক্রিকেটে নয়, তার আগ্রহ অন্যান্য বিষয়ের দিকে বেশি। এরপর খোদ ফারুক আহমেদ নিজেই এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন। দেশের এক দৈনিক সংবাদপত্রের সাথে আলাপকালে তিনি বললেন, ক্রীড়া উপদেষ্টা যখন তার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তখন থেকেই তিনি বোর্ড নির্বাচনে মনোযোগী হয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘ওই অফিস থেকে বলেছিলেন আমি যেন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিই, কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম, তারা আমাকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।’
ফারুক আরও জানান, তার পক্ষে কোনও ক্লাব কিনা বা কাউন্সিলর হওয়ার জন্য অর্থ দিয়েছেন এমন কোন প্রমাণ নেই। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখনও পর্যন্ত কোনও ক্লাব বা কাউন্সিলরদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই।’
পদ হারানোর পর তিনি আইসিসির কাছে অভিযোগ দেবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন, তবে পরে সেটি করেননি। তার কারণ, দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি এড়াতে তিনি বুঝতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, অভিযোগ করলে বাংলাদেশের জন্য কিছু ক্ষতি হতে পারে। আইসিসি বিষয়টি নিলে হয়তো আমরা শাস্তি পেতাম, যেমনটি শ্রীলঙ্কা বা জিম্বাবুয়ে পেয়েছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর অক্টোবরে বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে থেকেই বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।