ঢাকা | রবিবার | ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

আফ্রিদিকে ইরফান পাঠান: রানির মুখে কুকুরের মাংস খেয়ে চিৎকার কেন?

প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের মধ্যে তর্ক ও বাক-বিতণ্ডা কখনও কখনও খুবই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এমনই একটি ঘটনা তুলে ধরলেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। পাকিস্তান সফরে গিয়ে তার সঙ্গে শহীদ আফ্রিদির মধ্যে এক উত্তেজনাপূর্ণ বাক্যালাপ হয়েছিল। ঘটনাচক্রে ইরফান তখন বলেন, ‘আফ্রিদি কুকুরের মাংস খায়, সে কারণেই সে অনেক দিন ধরে এ ধরনের চিৎকার করছে।’ সম্প্রতি তিনি এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এক সাক্ষাৎকারে, যেখানে তিনি বললেন, ২০০৬ সালে পাকিস্তানের এক সফরে তারা করাচি থেকে লাহোরে যাওয়ার পথে দু’দলের ক্রিকেটাররা এক ফ্লাইটে ছিলেন। সেই ফ্লাইটে কাপ্পসটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখনই ইরফান ও আফ্রিদির মধ্যে তর্ক শুরু হয়। ইরফান বলেন, ‘সেদিন আফ্রিদি আমার দিকে এগিয়ে এসে আমার মাথায় হাত দিয়ে চুল এলোমেলো করছিল। এরপর সে আমাকে জিজ্ঞেস করে, “কী অবস্থা বাচ্চা?” আমি জবাবে বলি, “তুমি কখন থেকে আমার বাবা হয়ে গেছো?” তার আচরণ ছিল খুবই childish। সে আমার বন্ধু নয়। এরপর সে সরে গিয়ে আমাকে বাজে কথা বলবে, আর কাছাকাছি অন্য সিটে বসে।’ ওই সময় পাশে অন্য একটি সিটে বসা ছিলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাক। সেই সময় ইরফান প্রশ্ন করেন, ‘তখন সে আমাকে বলল, কুকুরের মাংস পাওয়া যায় কি না। আমি বললাম, সেখানে নানা ধরনের মাংস পাওয়া যায়। এরপর আমি জিজ্ঞেস করলাম, “কুকুরের মাংস কি পায়?” তখন আফ্রিদি কাছে ছিল। রাজ্জাক শুনে থমকে যান এবং বলেন, “ইরফান, তুমি এটা কেন বললে?” আমি বললাম, “সে কুকুরের মাংস খায় বলে এত লম্বা আওয়াজ করে।” আফ্রিদি এটা শুনে রেগে লাল হয়ে যান, কিন্তু কিছু বলেননি। আমি আবার বলি, “দেখে আমার নামে আবারও কুকুরের মতো আওয়াজ করছে।” তখন থেকেই আফ্রিদি বুঝে যান, তিনি কখনও মুখের উপর জিততে পারবেন না। এরপর আর সে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়নি। এই ঘটনা ইরফান উল্লেখ করেছিলেন, যাতে দেখানো হয়েছে কতটা উত্তপ্ত হতে পারে ক্রিকেটের আঙিনা।