বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, ধমক দিয়ে বা intimidation এর মাধ্যমে নির্বাচনের অভিযাত্রাকে রুখে দেওয়া যাবে না। বুধবার সকালে ডাক্তারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতাদের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, কিছু মানুষ নির্বাচন নিয়ে হুঁশিয়ারি দেয়ার মাধ্যমে স্বৈরাচারী শক্তির প্রকাশ করতে চাইছেন, যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপদজনক। তিনি পিআর (প্রভাষক) পদ্ধতির সমালোচনা করে বলেন, যারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে, তারাই আসলে নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
তিনি আরও বলেন, যারা ধমক দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে নির্বাচনে বাধা দিতে চান, তারা জনগণের মনোভাব বুঝছেন না। বিএনপির এই নেতা আরও স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় একক গোষ্ঠীর আন্দোলনে নয়, বরং ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন সম্ভব হয়েছিল।
তিনি ঘোষণা দেন, এই আন্দোলনে সকল ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে সম্পৃক্ত করে ভোটারদের হাতে নির্বাচন সম্পন্ন করার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
অভিযোগের পাশাপাশি, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) যুব সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। তিনি আরও জানান, যদি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হয়, তবে দেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বন্ধুগণের স্বপ্ন ও সংগ্রামের প্রতি অসম্মান হবে।
নাসীরুদ্দীন বলেন, সংস্কার ও নতুন সংবিধান ছাড়া নির্বাচন হলে, দেশের মানুষের জীবন ও জীবনচেতনাকে আবার ফিরে পেতে হবে। তা না হলে, এক সিস্টেমের মধ্যে যান আর এতগুলো শহীদদের জীবন বিনা গ্লানিতে অপচয় হবে।