ঢাকা | রবিবার | ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

দেশের ওষুধশিল্পে সংকট ও ঝুঁকি নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ

বাংলাদেশের ওষুধশিল্পে চলমান সংকট ও সৃষ্টি হওয়া ঝুঁকি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করে, সরকারের কিছু নীতিমালা ও পরিকল্পনা, বিশেষ করে গৃহীত কিছু নীতিগ্রহণ ও নির্দেশনা এই শিল্পের জন্য অস্বচ্ছতা ও একপেশে মনোভাব সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্তে সদয় নিস্তব্ধতা বা নিষ্ক্রিয়তা থাকায় এই খাতে গুরুত্বপুর্ণ ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সংযুক্ত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি), অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি, এবং ড্রাগ কন্ট্রোলের টেকনিক্যাল সাবকমিটিতে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি না থাকার বিষয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই তথ্যগুলো বুধবারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি বিশ্বাস করে ওষুধশিল্পের নীতিমালা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পেশাজীবীদের মতামত গুরুত্ব দেওয়া অতি জরুরি। এ জন্য বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে সমাধান খুঁজে বের করাই দেশের স্বার্থে উত্তম হবে। বিএনপি কঠোরভাবে উল্লেখ করে, কোনোভাবেই শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে কোনো কমিটিসমূহ গঠন বা পরিবর্তন সমর্থন করে না। তারা আরও জানায়, সামনে এলডিসি (লোকাল ডিভেলপমেন্ট ইন কনজ্যুডিভ অ্যাডভান্সমেন্ট) গ্র্যাজুয়েশনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, কারণ এই খাতের সুরক্ষা ও উন্নয়নে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নতুন ওষুধের দ্রুত নিবন্ধন এবং দীর্ঘদিন ধরে ওষুধের মূল্য সমন্বয়ের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক। বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ‘ট্রিপস ওয়েভার’ (ট্রিপস চুক্তির আওতায় মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত সুবিধা) হারাতে পারে, যেখানে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। নাটকীয় এই পরিস্থিতিতে, ওষুধশিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়ন জন্য সময়োপযোগী এবং দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিএনপি মনে করে, সরকারের, বেসরকারি খাত, শিল্প উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট গবেষকদের সঙ্গে সমন্বিত কাজ ও আলোচনা এই খাতকে টেকসই ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। তারা আশা করে, সে জন্য দেশের ওষুধশিল্পের স্থিতিশীলতা ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকার উদ্যোগ নেবে।