ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মুখ খুলল পাকিস্তান

পাকিস্তান সম্প্রতি বাংলাদেশের পলাতক দুর্নীতিবাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়ার পর থেকে তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। পাকিস্তানের মতে, এই রায়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এবং দেশের জনগণ নিজস্ব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে সক্ষম।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি এই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাকিস্তান বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রिक প্রক্রিয়ায় এসব সমাধান করতে পারে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেয়। এই রায়ে বলা হয়, তিনি ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রাণঘাতী হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই রায় ভবিষ্যৎ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি এ ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এবং দেশের জনগণ নিজেরাই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবে।

২০১২ সালে ছাত্র আন্দোলনের ফসল হিসেবে শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ওই আন্দোলনে শত শত মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশের সরকার ইতোমধ্যে ভারতের প্রতি জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠানো মানে খুবই ভয়াবহ ও অপ্রিয় বিষয় হবে, এবং এটি বিচারনীতির অনুপেক্ষিতা হিসেবে গণ্য হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দুই দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য। কিন্তু এখনো পর্যন্ত দিল্লি এর জন্য রাজী হয়নি। ভারত দাবি করে, তারা সবসময় বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে কাজ করবে এবং এর জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নেবে। খবর দ্য ডনের।