ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা ও স্মরণস্তুতি

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ সকালে ঢাকার সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে দেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি সম্মান ও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

আজকের কর্মসূচি শুরু হয় ফজরের নামাজের পর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে, যেখানে দেশের সকল সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের জন্য দোয়া ও প্রার্থনা হয়।

দিবসটির স্মরণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও আস্থা। তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে। তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের ভাবমর্মা বাড়িয়েছে। তিনি প্রত্যাশা করেন, সশস্ত্র বাহিনী তাদের দেশের জন্য গৌরবের ওপর অটুট থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, এই বাহিনী সব সময় দেশের জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছে নানা সংকটে। তারা নিয়মিতভাবে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করে আসছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভবিষ্যতেও দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সশস্ত্র বাহিনী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।

দিবসের স্মরণসভা ও কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে কৃতি শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। এর পরে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা এছাড়াও ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থানরত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দিবেন, যেখানে তিনি ১০১ জন স্মরণীয় ব্যক্তির হাতে শুভেচ্ছা স্মারক ও সম্মাননা তুলে দেবেন। এ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্য সচিবালয় ও সরকারি দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়াও, আজ বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উৎসবের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় গুণী ব্যক্তিবর্গ, বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাবেক ও বর্তমান সামরিক কর্মকর্তা, স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের সদস্য, এবং দেশের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এই অনুষ্ঠানের সম্প্রচার বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচারের জন্য প্রস্তুত।