ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বাগেরহাটের সংসদীয় আসন নিয়ে এখন চেম্বার আদালতের নোটিশ

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের নির্ধারিত এলাকার জন্য উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) চেম্বার আদালতে আপিল ও আবেদন করেছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে এই আবেদনটি করেন ইসি।

রোববার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই চারটি আসন থেকে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার নির্দেশ দিয়ে এবং পূর্বের সীমানা অনুসারে আসনগুলো বহাল রাখার রায় দেন। ঐ রায়ের ফলে বাগেরহাটের সংসদীয় চার আসনই অবৈধ ঘোষণা হয়। আদালত একইসঙ্গে ওই চারটি আসন বাতিলের নির্দেশ দেন।

তবে, এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন সাক্ষাৎ করেন ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে। এসময় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নেতারা জানান, এই রায়ের কপি এখনো নির্বাচন কমিশনের হাতে আসেনি। তারা ইসিকে অনুরোধ করেন যেন ভবিষ্যতে এই বিষয়ে কোনও আপিল না করা হয়। এ ছাড়াও তারা এই সিদ্ধান্তের সত্যতা বিবেচনা করে আরও আলোচনা চান।

অন্যদিকে, সোমবারের ওই রায়ের ফলে নির্বাচন কমিশনের গেজেটও বাতিল হয় বলে জানা গেছে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তার সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট বিপ্লব কুমার পোদ্দার, অ্যাডভোকেট ফয়সাল মোস্তফা এবং অ্যাডভোকেট রাজিয়া সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।

প্রসঙ্গত, ১৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত বাগেরহাটের চার সংসদীয় আসনকে রক্ষা করার জন্য রুল জারি করেন। এর আগে, ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যেখানে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করা হয়। এই সিদ্ধান্তও অবৈধ ঘোষণা করে আদালত।

বাগেরহাটের আসনের ব্যাপারে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ভোটাররা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। তারা মনে করতেন, এই পুনর্বিন্যাস জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করে। বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল হরতাল, বিক্ষোভ ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সাল থেকে এ অঞ্চলটি চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে বিভক্ত ছিল। ঐতিহ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ হলো চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ হলো বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ হলো রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ হলো মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা। এই নির্দেশনা প্রথম থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে সালমান করেছে।

আজকের খবর/বিএস