সারা দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ও আশাবাদের জোয়ার প্রকাশ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্ঠার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন כי ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই দিনরাত কাজ করছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব আরও জানান, দেশব্যাপী এখন নির্বাচনের বৃষ্টিস্নান শুরু হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন পরিচালনার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হলো একটি অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করা।
শফিকুল আলম বলেন, জনগণ সত্যিই সুশাসন চায়, কিন্তু এটি একদিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কার কার্যক্রমে অনেক বছর সময় লেগেছে, যেমন নেপালে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছে ৯ বছর। আমাদেরও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে সংসদে আলোচনা ও আলোচনা মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, নারী ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে অনেকের অভিমত রয়েছে, তবে আসলে জুলি সার্টিফিকেটে সব শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
প্রযুক্তি ও কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেন, এই দুটি বিষয় পরবর্তী সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বড় চ্যালেঞ্জ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শ্রমবাজারে ইতোমধ্যেই বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
রেল খাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে তিনি জানান, দেশের যোগাযোগ উন্নয়নে এই প্রকল্পের জন্য এখন পর্যন্ত পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই ধরনের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো দেশের অবকাঠামোকে আরও আধুনিক ও সক্ষম করছে।
শেষে, আওয়ামী লীগ থেকে ক্ষমতা verloren প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেন স্পষ্টতার সঙ্গে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে। শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বলছেন, বিভিন্ন দল এই বিষয় নিয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকতে হবে।
– আজকের খবর / বিএনএস









