ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত

চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজা উপত্যকায় আবার শুরু হয়েছে ইসরায়েলি আক্রমণ। এই হামলায় অন্তত ১৮ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, দক্ষিণ রাফার এলাকায় পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এর পরই গাজায় কঠোর অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, যেখানে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ পরিস্থিতির সমন্বয়ে গাজায় আরও শক্তিশালী হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। এ রিপোর্টে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে এই তথ্য।

অপর দিকে, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস অভিযোগ তুলেছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লংঘন করেছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, বড় কোনও উসকানি হলে গাজায় জিম্মি সহ ১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধারে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। তারা বলেছে, তা না হলে মরদেহ উদ্ধারে বিলম্ব হতে পারে।

চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, মঙ্গলবার উত্তর গাজা শহরের সাবরা এলাকায় একটি সরকারি ভবনে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত হন। পাশাপাশি, দক্ষিণ খান ইউনিসে আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ হামলার ফলে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন।

গাজার আল-শিফা হাসপাতালে পাশের এলাকায় বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যেখানে আকাশে বড় আকারের ড্রোন ও সামরিক বিমান উড়তে দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই হামলার ব্যাপারে বলছেন, এটি ছিল বিশাল ধরণের। এই হত্যাযজ্ঞ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সাধারণ ফিলিস্তিনির মাঝে।

অন্যদিকে, মার্কিন ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স বলেছেন, এখনো যুদ্ধবিরতি টিঁকে আছে। তিনি বলেন, “এটা মানে এই নয় যে কোথাও কোনও ছোটখাটো সংঘর্ষ হবে না। আমরা জানি গাজায় হামাস বা অন্য কেউ ইয়েমেন বা অন্য কোথাও ইসরায়েলি সেনাদের ওপর আক্রমণ করেছে। আমি আশাবাদী, ইসরায়েল জবাব দেবে, তবে আমি বিশ্বাস করি শান্তি বজায় থাকবে।”

এদিকে, রাফাহ এলাকায় এই সংঘর্ষের সঙ্গে হামাসের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানানো হয়েছে। হামাস এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করে অবিলম্বে এই আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, তারা চুক্তি অনুযায়ী শান্তি রক্ষা করছে।