ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের নবম শিরোপা

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান শেষবার কোনো ফরম্যাটে জয় পেয়েছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর থেকে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে ভারতই কেবল সব সময় হাসি হাসছে, টানা আট ম্যাচে তারা বিজয়ী হয়েছে। এই শিরোপা জয়টি সেই লম্বা অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান, কিন্তু সেই খরা কাটাতে পারেনি পাকিস্তান। তবে এই রোমাঞ্চকর ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে শেষ ওভারে। পাঁচ উইকেটের জয় নিয়ে ভারত ইতিহাসের নবম এশিয়া কাপ শিরোপা নিজেদের দখলে করেছে।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ (রোববার) অনুষ্ঠিত হওয়া সপ্তদশ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান শুরুতেই দারুণ আগ্রহ দেখিয়েছিল। তারা ১১.২ ওভারে ১০০ রান তুললেও, এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে এবং পুরো ইনিংসে অলআউট হয় ১৪৬ রানে। ভারতের পক্ষে এই রানটা তুলেছেন তিলক ভার্মার দুর্দান্ত ফিফটির বরখাস্ত।

লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ভারতের শুরুটা বেশ কঠিন ছিল। অভিষেক শর্মাকে (৫) প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ, পরে ধরা পড়ে রান রেট কমানোর চেষ্টায় সূর্যকুমার যাদব (১) আউট হন। এর মধ্যে অপ্রকাশ্য-স্লো বল থেকে যুক্তিসঙ্গতভাবে ক্যাচ নিতে পারেননি হুসাইন তালাত। ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার এই দুর্দশায় ছিলেন, বলছিলেন, চলতি বছরে ১১ ম্যাচে তাঁর রান মাত্র ১০০।

শুরুর এই বিপদ কাটাতে তিলক ভার্মা কঠিন পরিস্থিতিতে সমর্থন দেন। ফাহিমের বলে চার ও ছক্কায় ১৭ রান করে চাপ কমিয়ে আনেন, এরপর আবরার আহমেদের করা নবম ওভারে ব্যক্তিগত ১২ রানে উচ্ছেদ হন সঞ্জু স্যামসন। তবে, ভারতীয় ব্যাটাররা ধীরগতির হলেও বদ্ধপরিকর ছিলেন।

অতিরিক্ত বিপদে পড়লেও, জুটি বেঁধে রান সংগ্রহ করে বলের গতি পরিবর্তন করেন তিলক ভার্মা ও সঞ্জু স্যামসন। ব্যক্তিগত ২৪ রানে স্যামসনকে আউট করার সাথে সাথে ভারতের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়। এরপর রউফের করা ১৫তম ওভারে চার ও ছক্কার মাধ্যমে তিনি ১৭ রান তুলতে সক্ষম হন, যা ভারতের চাপ কিছুটা কমায়। এই ফিফটি তুলে তিলক ভার্মা পারেন ৪১ বলে।

শেষদিকে, আবরার আহমেদ যদি ১১ রান না দিতেন, পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়তো। তবে তিলক ও রোমাঞ্চকর ৬০ রানের জুটি ভারতের কাজকে সহজ করে দেয়। শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১০ রান, এবং চার-ছক্কায় তিলক শেষ দুটি বল হাতে রেখে ভারতীয় জয় নিশ্চিত করেন।

এই জয় ভারতের ইতিহাসে নবম এশিয়া কাপ শিরোপা, যা তাদের সামর্থ্য ও ধৈর্যের জয়। এই স্মরণীয় ম্যাচের জন্য ক্রিকেটপ্রেমীরা আজকের দিনে বিশেষ ধন্য।