ঢাকা | মঙ্গলবার | ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচালো বাংলাদেশ

ম্যাচের ভাগ্য দুলে দুলে ניסৃতির মতো উপস্থাপিত হলো। এক মুহুর্তে জয় বাংলায় ঝলকাতে থাকলে, অন্য মুহুর্তে আফগানিস্তান এগিয়ে যায়। এই নাটকীয় পরিস্থিতিতে রোমাঞ্চের পরশে সাজানো ম্যাচে অবশেষে বাংলাদেশ ৮ রানের সাধারণ ব্যবধানে জিতে গেল। এই জয়ের মাধ্যমে তারা সুপার ফোরের পথে একটু এগিয়ে গেল, খাদের কিনারা থেকে উঠে এসে নিজেদের আশা জাগিয়ে রাখল।

প্রতিপক্ষ যখন আফগানিস্তান, তখন ভয়টা স্বাভাবিক হলেও বাংলাদেশের আধিপত্য ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে রশিদ খানদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই নিজেদের শক্তির Demonstration করতে সক্ষম হয়েছে টাইগাররা।

ব্যাট হাতে শুরুর সময় কিছুটা ঝলক দেখালেও শেষ দিকে খুবই স্তিমিত হয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে বল হাতের দিক থেকে শুরুটা দারুণ হয়। নাসুম ও রিশাদের আগুনে শুরুতে আফগান ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে ফেলতে সক্ষম হয়।

ম্যাচের শেষ ওভারে ম্যাচের রঙ বদলে যায়। মুস্তাফিজুর রহমান রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেন। এরপর তাসকিন আহমেদ দুই ছক্কা হজম করেন, যা ম্যাচেরভাবে অনেকটাই পরিবর্তন এনে দেয়।

অবশেষে ৮ রানের আনন্দময় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এটা তাদের দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক ও উজ্জীবন সৃষ্টি করেছে।

আফগানিস্তান শুরু থেকে ব্রেক করে আউট হওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪৬ রান করে। তারা বাংলাদেশের নির্ধারিত লক্ষ্য পুঁতে পারবে না। শেষ বলে নুর আহমেদকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন, ফলে তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায়।

মূল স্কোর হল:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (সাইফ ৩০, তামিম ৫২, লিটন ৯, হৃদয় ২৬, শামীম ১১, জাকের ১২*, সোহান ১২*; ফারুকি ৪-০-৩৭-০, ওমারজাই ৩-০-১৯-১, গাজানফার ৩-০-৩২-০, রাশিদ ৪-০-২৬-২, নাবি ২-০-১৭-০, নুর ৪-০-২৩-২)
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৬ (সেদিকউল্লাহ ০, গুরবাজ ৩৫, ইব্রাহিম ৫, নাইব ১৬, নাবি ১৫, ওমারজাই ৩০, জানাত ৮, রাশিদ ২০, নুর ১৪, গাজানফার ০, ফারুকি ২*; নাসুম ৪-১-১১-২, তাসকিন ৪-০-৩৪-১, মুস্তাফিজ ৪-০-২৮-৩, রিশাদ ৪-০-১৮-২, শামীম ১-০-১৬-০, সাইফ ৩-০-৩৯-০)

এ তথ্য নিউজের মূল ঘটনা ও পরিস্থিতি তুলে ধরে পাঠকদের জন্য চমৎকার ও সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।