ঢাকা | মঙ্গলবার | ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শমী কায়সার জামিন পেলেন হত্যাচেষ্টা মামলায়

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় נייַ অভিনেত্রী ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি শমী কায়সারকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) শুনানির মাধ্যমে হাইকোর্ট তার জামিনের আদেশ করেন।

প্রথমে, গত ৮ এপ্রিল রাতে উত্তরা ৪নং সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর, ৯ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা এলাকার টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফকে হত্যাচেষ্টার মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় টঙ্গী সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ (২০) অংশ নেন। তখনই বিকেল ১২টা৫০ মিনিটের দিকে উত্তরা পূর্ব থানাধনী আজমপুর এলাকায় মিছিলের সময় দুষ্কৃতি গুলি চালায়, যার সঙ্গে সঙ্গে জুবায়েরের বাম কাঁধে লাগে এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং তিনি সুস্থ হন।

এরপর, ২২ আগস্ট ভুক্তভোগী জুবায়ের উত্তরা পূর্ব থানায় ১১ জনকে আসামি করে এজাহারনামা দেন। জাতীয় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে এ মামলার proceedings চলমান। সন্দিগ্ধ হিসেবে এই মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকেও নামের তালিকায় রাখা হয়।

এর আগে, ১৮ জুলাই ছাত্র আন্দোলনের সময় এক ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহмুদ হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় অন্য একটি মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় শমী কায়সারকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর, রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১০ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি নিজের বাসায় থাকছেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণা দেওয়ার পর, ১৪ আগস্ট তিনি ই-ক্যাবের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যাচেষ্টার মামলাও অন্যতম।

শমী কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে। তার মাতা, পান্না কায়সার, আওয়ামী লীগের সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সবশেষ, কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি বিটিভি ভবনে শিল্পী সমাবেশে অংশ নেন এবং বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন।