ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বাঁচানো গেল না সেই হরিণটিকে: চিকিৎসা গাফেলতির অভিযোগ

বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া হরিণটি মারা গেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে হরিণটির মৃত্যু হয়। চিকিৎসা ও বন বিভাগের গাফিলতির কারণেই হরিণটির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিষখালী নদীতে ভাসমান অবস্থায় হরিণটিকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। পরে হরিণটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় হরিণটির শরীরের পিছনের বাম পায়ের উপরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ধারণা করা হয়, হরিণটিকে কোন হিংস্র প্রাণী আক্রমণ করেছে। বন বিভাগ অসুস্থ হরিণটিকে উপজেলা প্রানী সম্পদ দপ্তর থেকে তিন দিন চিকিৎসা শেষে গত শুক্রবার হরিণঘাটা ইকো পার্কের বনে অবমুক্ত করেন। এর তিন দিন পর গত সোমবার হরিণটি মারা যায়।

অভিযোগ উঠেছে, হরিণটিকে পুরোপুরি চিকিৎসা ও সুস্থ না করে বন বিভাগ হরিণটিকে বনে অবমুক্ত করেছেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর বলছে, হরিণটি তাদের কাছে বন বিভাগ নিয়ে আসলে তারা চিকিৎসা দেন। ব্যবস্থাপত্র দিয়ে সে অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পরার্মশ দেওয়া হয়। এরপর অসুস্থ হরিণটিকে বন বিভাগ তাদের জিম্মায় রাখেন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সংকল্প ট্রাস্টে’র নির্বাহী পরিচালক ও পর্যটন উদ্যোক্তা মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ বলেন, হরিণটি উদ্ধারের পর তিন দিন চিকিৎসা শেষে বনে অবমুক্ত করা হয়। তখনো হরিণটি পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। আমরা জানতে পেরেছি হরিণটিকে ভালো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। আমাদের ধারণা চিকিৎসার অভাব ও বন বিভাগের গাফেলতির কারণে হরিণটির মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হরিণঘাটা বনাঞ্চলে হরিণ এখন ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যটন কেন্দ্র ও বনের হরিণ সুরক্ষায় সরকারের দৃষ্টি দিতে হবে।