স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্পষ্ট করেছেন, বাংলাদেশে চাঁদাবাজদের কোনো স্থায়ী স্থান নেই এবং তাদের কোনওভাবে মাথা উঠতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি নির্মূলে কঠোরভাবেই অবস্থান নিয়ে সংসদ বা জনসম্মুখে দৃঢ়তার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা আরও বলেন, “কোনো চাঁদাবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিশেষ করে মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকার চাঁদাবাজির প্রবণতা একটু বেশি। তবে আমরা অবৈধ টাকার উৎস বা চাঁদাবাজদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য নাগরিকদের সহযোগিতা চান তিনি। বলেন, “আপনাদের উচিত চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা। আমরা চাই পুলিশ ও সরকার এই অপকর্মের কঠোর বিরোধিতা করবে।”
নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা যে সময় নির্বাচন ঘোষণা করেছেন, সেটাই চূড়ান্ত। অন্য কারো কোনও মন্তব্যের দরকার নেই। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা নেই।”
অপরদিকে, বাজার পরিস্থিতির ব্যাপারে তিনি জানান, বেশি বর্ষণের কারণে শাকসবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে আলুর সংগ্রহ ও মজুতের জন্য দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আলুর দরকারি বাজার দামের পার্থক্য ৪ থেকে ৫ টাকার মত, যার ফলে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষক ন্যায্য মূল্য না পেলে ভবিষ্যতে আলুর উৎপাদন কমে যেতে পারে, ফলে দাম আবার বাড়বে। কৃষকরা সবসময়ই মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে কম মূল্য পান, আর shoppers দের বেশি দামে কিনতে হয়।
সাম্প্রতিক পলিথিন ব্যবহারে তিনি বলেন, এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। মাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পানি আটকে যায় এবং এটি সহজে নষ্ট হয় না। তাই সবুজ আন্দোলন ও পরিবেশের স্বার্থে পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন এবং পরিবেশও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।