ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ড. মুফতী আবুল কালাম আজাদ বাশার: বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ওলামায়ে কেরাম

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় জামায়াতের ওলামা শাখার উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ হলে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এলাকার বিশ্বস্ত ও শ্রদ্ধেয় আলেমরা যোগদান করেছেন।

উপজেলা ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন সরকার এর সঞ্চালনায় ও মাওলানা আব্দুর রশিদ পীর সাহেবের সভাপতিত্বে এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের একজন বরেণ্য আলেমে দ্বীন, ড. মুফতী আবুল কালাম আজাদ বাশার। তিনি তাঁর বক্তৃতায় নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিতদের উদ্দেশ্যে বলেন, ওলামায়ে কেরাম জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বিগত সময়গুলোতে অত্যন্ত কঠিন সময় অতিবাহিত করেছেন তাঁরা এবং নিজেদের রক্ষার জন্য অনেক নির্যাতনের মুখে পড়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ওলামায়ে কেরামদেরকে ন্যায়ে ও ইনসাফে সমাজ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক লোকমান হাকিম ভুঞা, মুফতী আমিনুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মিজানুর রহমান প্রমুখ। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন দেবীদ্বার উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, পৌর আমীর ফেরদাউস আহম্মেদ, মুফতি মহিউদ্দিন, রাজামেহার ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ, সিদলাই ফাযিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম, ওয়াহেদপুর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সফিকুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক রুহুল আমিন খান, কর্মপরিষদ সদস্য শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, মোহাম্মদপুর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মহিউদ্দিন ও বড় শালঘর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা তাজুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

ড. মুফতী আবুল কালাম আজাদ বাশার আরও বলেন, ওলামায়ে কেরাম জাতির ভবিষ্যৎ, তাদের ন্যায়ে ও ইনসাফে সমাজ গড়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের জন্য কাজ করতেই থাকবেন ওলামায়ে কেরামরা।

এই সম্মেলনে উপস্থিত সকলের মধ্যে একত্রিততা ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে, যা ভবিষ্যতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা বলে মনে করা হচ্ছে।